ক্লাস শেষে বাসে চেপে বাসায় ফিরছিলেন খুকি। বাসের হেলপারের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কিছু কথা কাটাকাটিতে বিগড়ে গেল খুকির মেজাজ।কলেজ থেকে ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। মেয়েটির মতো যে কারোই হুটহাট করে মন-মেজাজ অদলবদল হতে পারে। এমনটা হলে চিকিৎসার ভাষায় একে মুড সুইংও বলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীদের মধ্যেই মুড সুইং দেখা যায়। তবে পুরুষদের যে একেবারেই হয় না তা কিন্তু নয়। নারীদের মাসিকের সময়, গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের পরপরই এমন বেশি দেখা যায়। তবে মুড সুইং ঘটতে পারে যেকোনো সময়ে, যেকোনো কারণে। যদি টের পান আপনার মনমেজাজ ভালো নেই তাহলে যা করবেন:
* প্রথমেই খেয়াল করবেন আপনার ঠিকমতো ঘুম হয়েছে কি না। ঘুম না হলে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
* হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
* প্রতিদিন একঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করুন।
* সময় মেনে হেলদি খাবার খান।
* কমেডি বা রোমান্টিক মুভি দেখুন।
* প্রকৃতির কাছে যান, দুচোখ ও মন ভরে উপভোগ করুন প্রকৃতির রূপ।
* মন কেন বারবার খারাপ হচ্ছে যদি বুঝতে পারেন তবে বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করুন।
* পরিবার আর কাছের বন্ধুদের জানিয়ে দিন আপনার মুড সুইং করছে, তারা যেন কয়েকটা দিন আপনাকে মানসিক সাপোর্ট দেন।
মুড সুইং এক ধরনের মানসিক অবস্থা বা সমস্যা। তবে প্রাথমিকভাবে একে সরাসরি মানসিক রোগ বলা যায় না। বেশির ভাগ সময়ই মুড সুইং খুব অল্প সময়ে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যদি ঠিক না হয় বা মনে করেন এটি সমস্যা করছে প্রতিদিনের জীবনে-কাজে-সম্পর্কে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।