সকালের নাস্তা সঠিক সময়ে খাওয়া সম্ভব হলেও কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেকের মধ্যাহ্নভোজের সময় ঠিক থাকে না। কোনো কোনো দিন দেখা গেল কাজের চাপ কম সেদিন তাড়াতাড়ি মধ্যাহ্নভোজ করা হয়।আর যেদিন কাজের চাপ বেশি সেদিন মধ্যাহ্নভোজ করতে বিকেল হয় অনেকের।
একটানা এমন অনিয়মের কারণে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে আমাদের। তাই মধ্যাহ্নভোজ নির্দিষ্ট সময়ে করা জরুরি। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের সঠিক সময় কোনটি? কখন খেলে আমাদের শরীর থাকবে সুস্থ?
দিনের প্রত্যেকটি খাবারের মাঝে কত সময় ব্যবধান থাকা জরুরি, তা নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। স্বাস্থ্যের অবস্থার সঙ্গে এর নানাভাবে যোগ রয়েছে বলে বক্তব্য অনেকের।
হার্টের অবস্থা থেকে ওজন বাড়া, সবই এর সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। তাই কোন সময়ে মধ্যাহ্নভোজ খাববেন তার অনেকটাই নির্ভর করবে সকালের নাস্তার সময়ের ওপরে। কারণ দুটি খাবারের মধ্যে অন্তত তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হবে। তার মানে যদি সকাল ৮টায় নাস্তা করেন তাহলে দুপুর ১২টার আগে মধ্যাহ্নভোজ সারা যাবে না? তা-ও কিন্তু নয়।
পুষ্টিবিদরা এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বলছেন। তা নাহলে, খিদে পেলে কোনোভাবেই পাকস্থলীকে অপেক্ষা করানো যাবে না। যদি আপনার ১১টায় ক্ষুধা পায়, তখনই খেয়ে নিতে হবে। পেট খালি রাখলেই বিপদ।
গ্যাস্টিকের ভয়তো আছেই। একইসঙ্গে বেশিক্ষণ পেট খালি রাখলে আলসারের ভয়ও থাকে। তাই না খেয়ে থাকার ভুল এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। গুছিয়ে খেতে বসার সময় না হলেও টুকটাক কিছু মুখে দিন।