স্রেফ ১৩ ইনিংসেই পূর্ণ করে ফেলেন টেস্ট ক্রিকেটে এক হাজার রান। দ্বিতীয় দ্রুততম হাজারের এই পথচলায় শ্রীলঙ্কান এই ব্যাটার স্পর্শ করলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে।নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে এই মাইলফলক গড়েন কামিন্দু।
গলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ইনিংসে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৬০২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। রেকর্ড গড়া কামিন্দু অপরাজিত থাকেন ১৮২ রানে। নিজের ইনিংসটি তিনি সাজান ১৬ চার ও ৪ ছক্কায়। অপরপ্রান্তে সেঞ্চুরির দেখা পান কুশল মেন্ডিসও। ১৪৯ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ম্যাচের প্রথম দিন ফিফটি হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়া শুরু হয় কামিন্দুর। টেস্ট ক্রিকেটের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে প্রথশ আট ম্যাচে পঞ্চাশের বেশি ইনিংস খেলার নজির গড়েন তিনি। এই ফিফটিকে দ্বিতীয় দিনে পরিণত করেন সেঞ্চুরিতে। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ১৪৭ বলে পূর্ণ করেন শতক। ১৩ ইনিংসে ৫টি সেঞ্চুরি নিয়ে তিনি স্পর্শ করলেন স্যার ব্রাডম্যান ও জর্জ হেডলিকে। ১০ ইনিংসে পাঁচ সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকায় সবার ওপরে এভারটন উইকস। ১২ ইনিংসে এই রেকর্ড গড়েছিলেন হার্বার্ট সাটক্লিফ ও নিল হার্ভি।
তবে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এই তালিকায় সবার ওপরে কামিন্দু মেন্ডিসই। দুইয়ে থাকা পাকিস্তানের ফাওয়াদ আলমের ৫টি সেঞ্চুরি এসেছে ২২ ইনিংসে। এদিন সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই ক্ষান্ত হননি লঙ্কান এই ব্যাটার। পূর্ন করেন এক হাজার রানও। সবচেয়ে কম ১২ ইনিংসে এক হাজারি ক্লাবে থাকা ক্রিকেটার উইকস ও সাটক্লিফ।
২০২২ সালে টেস্টে অভিষেক হওয়া কামিন্দু প্রথম ইনিংসে নেমেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। পরের ম্যাচে ২০২৪ সালে এসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। দারুণ ফর্মে থাকা এই ব্যাটার ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও করেন বাজিমাত। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাট থেকে। পরের দুই টেস্টে ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস খেলেন। সেই ফর্ম কামিন্দু নিয়ে এলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয়টিতেও বজায় রাখেন ধারাবাহিকতা। গড়েন রেকর্ড।