জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) ‘বাজুস ফেয়ার- ২০২৪’ খুবই আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত কসোভোর ডেপুটি হেড অব মিশন ভিসার ক্লুনা।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে ‘বাজুস ফেয়ার- ২০২৪’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিসার ক্লুনা বলেন, মেলায় অনেকগুলো স্টল রয়েছে। প্রতিটি স্টলেই চমৎকার ও আকর্ষণীয় স্বর্ণালংকার রয়েছে। প্রতিটি স্বর্ণই উচ্চ গুণগত মান সম্পূর্ণ ও সহজলভ্য। এত সুন্দর ও আকর্ষণীয় স্বর্ণের মেলা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি।
দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাজুস ফেয়ার ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা- দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না।
বাজুস ফেয়ার-২০২৪ দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে গড়া নিত্য নতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে।
এছাড়া বাজুস ফেয়ারে ক্রেতাদের জন্য র্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতারা যে প্রতিষ্ঠানের অলংকার ক্রয় করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই র্যাফেল ড্রয়ের কুপন সংগ্রহ করবেন। একই সঙ্গে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফার দিচ্ছে।
এবার বাজুস ফেয়ারে ৯ টি প্যাভিলিয়ন, ১৭ টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৫টি স্টলে দেশের স্বনামধন্য ৪১টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।
বাজুস ফেয়ার-২০২৪ -এ প্যাভেলিয়নে অংশ নেওয়া ৯টি প্রতিষ্ঠান হলো: ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, অলংকার নিকেতন (প্রাঃ) লিমিটেড, আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেড, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লিঃ, আপন জুয়েলার্স, জড়োয়া হাউজ (প্রাঃ) লিমিটেড ও রিজভী জুয়েলার্স।
মিনি প্যাভেলিয়নে অংশ নেওয়া ১৭টি প্রতিষ্ঠান হলো: ডায়মন্ড বাজার অ্যান্ড গোল্ড, গৌরব জুয়েলার্স, আলভী জুয়েলার্স, আই. কে জুয়েলার্স লিমিটেড, চৌধুরী গোল্ড, রিয়া জুয়েলার্স, আফতাব জুয়েলার্স, ডায়মন্ড হাউজ, রয়েল ডায়মন্ড, দি ডায়মন্ড স্টোর, ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি, রাজ জুয়েলার্স লিমিটেড, জারা গোল্ড, জায়া গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, সাস ইন্টারন্যাশনাল, দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্স ও ডি ডামাস দি আর্ট অব জুয়েলারি।
স্টলে অংশ নেওয়া ১৫টি প্রতিষ্ঠান হলো: গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্স, দি আই. কে জুয়েলার্স, গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স, আয়াত ডায়মন্ডস, সিরাজ জুয়েলার্স, পাপড়ি জুয়েলার্স, ডায়মন্ড প্যালেস, ডায়মন্ড স্কয়ার, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্স, রাজঐশ্বরী, ডি গোল্ড প্যাশন, বাংলাদেশ সায়েন্টিফিক ইন্সট্রুমেন্ট কোম্পানি, জেমস গ্যালারি এন্ড ডায়মন্ড, খোকন জুয়েলার্স ও আরএন মাইক্রোটেক।