রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচনে জয়ী হলে সবসময় মানুষের পাশে থাকার পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন করতে চান এই নায়িকা। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের জন্য কাজ করতে নিজের সঙ্গেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি।
শুধু তাই নয়, জয় পেলে নির্বাচনী এলাকার নারীদেরকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মাহি।
নির্বাচনী প্রচারণায় গোদাগাড়ী-তানোরের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে ট্রাক প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাহি।
এদিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাগাইল গ্রামের নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েও ভয় দেখানোর চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। প্রচারণায় অনেকেই তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও ভীত না হয়ে বরং সাহসের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন এই নায়িকা।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এসে গোদাগাড়ী-তানোরের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মাহি বলেন, আপনাদের এক আঙুলের ছাপ আমার চার আঙুলের কপাল বদলে দেবে।
ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করা নিয়ে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি প্রতিশ্রুতির মধ্যে আরও রয়েছে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করা হবে; ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, গোদাগাড়ী-তানোরে শতভাগ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা।
স্কুল-কলেজ-মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, গোদাগাড়ী-তানোরে দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নের সকল উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান এই নায়িকা।
এ ছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা প্রণয়নপূর্বক প্রয়োজনীয় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ সকল যোগাযোগ অবকাঠামো সংস্কার, মেরামত ও নির্মাণের কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মাহি।
মাহির দৃঢ় বিশ্বাস—নির্বাচনে তার জয় হবেই। শত বাধা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়ে যাবেন এই নায়িকা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি।
রাজশাহী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১০ প্রার্থী। আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী ও স্বতন্ত্র মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা)। এ ছাড়াও রয়েছেন স্বতন্ত্র মো. গোলাম রাব্বানী (কাঁচি প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র মো. আখতারুজ্জামান (ঈগল প্রতীক) জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন (লাঙ্গল প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নুরুন্নেসা (আম প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির জামাল খান (সোনালী আঁশ প্রতীক), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বশির আহমেদ (ছড়ি প্রতীক), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আল সামাদ (টেলিভিশন প্রতীক), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) সামসুজ্জোহা বাবু (নোঙর প্রতীক)।