গণমাধ্যমে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট স্থগিতের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন’- এমন শিরোনামে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের স্ক্রলে এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার অনলাইন ভার্সনে খবর প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে কমিশন গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। এ তথ্যটি অসত্য ও ভিত্তিহীন। ভোট স্থগিত হওয়ার খবরে আসনটির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সর্বসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব গণমাধ্যমে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট স্থগিত হওয়ার বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানায় নির্বাচন কমিশন।
এর আগে, সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবরে বলা হয়, নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় আসনটির ভোট স্থগিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
গাইবান্ধা-৫ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক), শামসুল আজাদ শীতল (ঈগল পাখি), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), এনপিপির ফারুক মিয়া (আম) এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। তবে গত ৩ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আতাউর রহমান।