জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেছেন, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগ চায় একনায়কতন্ত্র এবং ভিনদেশি প্রভুরা চায় ভূখণ্ড। সুতরাং আগামী ৭ তারিখ দেশ রক্ষার শপথ নিয়ে ‘ডামি নির্বাচন’ প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশ মহাবির্পযয়ের দিকে অগ্রসর হবে।
তিনি বলেন, জাগপা ছাত্রলীগের ইতিহাস ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’ র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ৯০’র গণঅভ্যুত্থান এদেশের সফল আন্দোলনের ইতিহাস। তাই চলমান আন্দোলনেও জাগপা ছাত্রলীগসহ দেশের সব ছাত্র জনতাকে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রঐকের মাধ্যমে জনগণের দাবি আদায় করতে হবে। সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষার প্রয়োজনে ছাত্রদের রক্ত ত্যাগের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। অন্যথায় স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েও বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শিকলে বন্দি থাকতে হবে।
ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান দেশবাসীকে আগামী ৭ তারিখ ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে এ দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবে, সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, গুম হওয়া মানুষগুলো ফেরত পাওয়া যেতে পারে, নিত্যপণ্যের বাজার আওয়ামী সিন্ডিকেট মুক্ত হবে, খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্ত করা যাবে, তাই আপনার-আমার এবং দেশবাসীর ঈমানি দায়িত্ব ৭ তারিখ ভোট বর্জন করা।
জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, ফ্যাসিবাদ মুক্ত ছাত্র ঐক্যই জনগণকে আওয়ামী লীগ মুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারে। সে-জন্য মতপার্থক্য ভূলে ডান-বাম ও ইসলামী মূল্যবোধের ছাত্র সংগঠনগুলোর ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। তবে দেশ রক্ষায় ছাত্রদের দায়িত্ব ঈমানি পরীক্ষার অংশ। সুতরাং আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পডুন।
জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিম, মো. আল আমিন ইসলাম শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও দপ্তর সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম শাহেদ।